
বর্ষে বর্ষে ছড়ার হর্ষে
তন্ময় ধর
সূর্য-পোড়া গরম বাতাস একটুখানি
মেখে
কালবোশেখির শিল-কুড়োনো
দুষ্টুমিটার থেকে
ছুটির বাঁশির উদাস সুরে
কেউ কি দিল এঁকে
চুপকথাদের চুপ।।
গহন আলোয় ভরে যাওয়া
সৃষ্টি থেকে
দুষ্টুমিঠে তোর ও-চোখের দৃষ্টি
থেকে
মেঘের গায়ে এঁকে দিল
বৃষ্টিতে কে
শাওনরঙা টাপুর-টুপুর-টুপ।।
শিউলিরঙা তোর দু’চোখের
আলোয় ভরে
পুজো-পুজো গন্ধে মাখা
আলোর ডোরে
মায়ের ভালোবাসার ছোঁয়ায়
পড়ল ঝরে
আশ্বিনরঙ রূপকথাদের রূপ।।
মৃগশিরার তারায় তারার
আলোয় মাখা রাতে
নবান্নরঙ আলোয় আলোয় মাখা
উষ্ণ ভাতে
কুয়াশারঙ জ্যোৎস্নামাখা
হিমেল হাতে
কে ছোঁয়াল আধেক হিমেল সুর।।
পায়েস-পুলি-চড়ুইভাতির
স্বাদের ফাঁকে
ভিনদেশি ওই শীতের পাখির
আকুল ডাকে
মিঠেল শীতের আলোয় যে রঙ
লুকিয়ে থাকে
হিমেল
হাওয়ার কোন সে অচিনপুর।।
কুসুম-কুসুম আলোয় ফোটা ওই
যে ফুলে
চৈতি চাঁদের রঙে আঁকা পরির
কানের দুলে
বছরশেষের বন্ধ দুয়ার কে
দিল আজ খুলে
নতুন দিন রইল না আর দূর।।
_____
অলঙ্করণঃ নচিকেতা মাহাত
No comments:
Post a Comment